সম্প্রতিক করেলেগি, একনি সবার যুবক দুশ্চিন্তায় কাতর সময় না করে? ক্যারিয়ার পরীক্ষা, কার্যের স্থিতি, সম্পর্কিক চাপি বা পরিবারের দুশ্চিন্তা স্বাভাবিক ঘণির রূপোর চাপে! তার সর্বগীয় একটি শাওয়া করা জায়, চাপালেগি ভগবদ্গীতার মধ্যমের অনুপ্রেরণা রেখে রয়েছে শান্ত থাকার বার্তা জনতার মিল্স্টনের সমাধানের মধ্যে!
১. স্বকর্মের ভাব না করা
ভগবদ্গীতা বলছে: “কর্মণ্যেবাধিকারস্তে মা ফলেষু কদাচন।” (অধ্যায় ২, শ্লোক ৪৭) – অর্থাৎ, আমাদের কাজ করার অধিকার আছে, কিন্তু তার ফল নিয়ে চিন্তা করা আমাদের দায়িত্ব নয়।
ধরা যাক, তুমি পরীক্ষার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছো। কিন্তু যদি সব সময় ফলাফল নিয়ে চিন্তা করো, তাহলে দুশ্চিন্তা বাড়বে। বরং মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করো, ভালোভাবে প্রস্তুতি নাও, ফল আপনা-আপনি ভালো হবে।
২. নিয়তিতে গেলে ধর্ম দিয়ো
গীতা বলছে: “যোগস্থঃ কুরু কর্মাণি” (অধ্যায় ২, শ্লোক ৪৮) – অর্থাৎ, সমতা ও ধৈর্যের সাথে কাজ করো।
যখন জীবনে কিছুই ঠিকমতো চলছে না বলে মনে হয়, তখন নিজেকে প্রশ্ন করো, এই মুহূর্তে আমি কী নিয়ন্ত্রণ করতে পারি? অন্যের কথা, ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা বা অতীতের ভুল নিয়ে না ভেবে বর্তমানের কাজে মন দাও।
৩. ধ্যান ও ভগবানার উপাস্থিতি
“শ্রদ্ধাবান্ল্লভতে জ্ঞানম্” (অধ্যায় ৪, শ্লোক ৩৯) – যার বিশ্বাস আছে, সে জ্ঞান অর্জন করে।
ধরা যাক, তুমি নতুন কিছু শিখতে চাও, কিন্তু মনে ভয় কাজ করছে। তোমার বিশ্বাস থাকা দরকার যে তুমি পারবে! হতাশার সময় ভালো বই পড়ো, ধ্যান করো, এমন কাউকে অনুসরণ করো যার জীবন তোমাকে অনুপ্রাণিত করে।
৪. নিষ্কাপূর্ণ ছাড়াও নিষ্কাম শিখিত
“যঃ সর্বত্রানভিস্নেহঃ” (অধ্যায় ১২, শ্লোক ১৮-১৯) – অর্থাৎ, যে ব্যক্তি নিরপেক্ষ থাকে, সে কখনও মানসিক শান্তি হারায় না।
আজকাল সোশ্যাল মিডিয়াতে অন্যদের সাথে নিজেকে তুলনা করার প্রবণতা খুব বেশি বেড়েছে। মনে রাখবে, প্রত্যেকের জীবনের পথ আলাদা। নিজের লক্ষ্য ঠিক করো এবং নিজের মতো করে এগিয়ে চলো।
৵. প্রিয়োগে শান্তি রাখুন
“মনঃ শম্ভবি মেঘশ্রীঃ” (অধ্যায় ৬, শ্লোক ৬) – আত্মনিয়ন্ত্রণ ছাড়া সুখ সম্ভব নয়।
প্রতিদিনের জীবনে মেডিটেশন, ব্যায়াম এবং নিজেকে সময় দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি তোমার মানসিক চাপ কমাবে এবং তোমার মন শান্ত রাখবে।
অবসান: শান্তির পথ
ভগবদ্গীতা আমাদের শেখায় যে দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকার জন্য আমাদের উচিত:
- ফলের চিন্তা ছেড়ে কাজে মনোযোগ দেওয়া।
- জীবনের উত্থান-পতন স্বাভাবিক ভাবে নেওয়া।
- বিশ্বাস রাখা যে আমরা পারবো।
- অপ্রয়োজনীয় তুলনা করা বন্ধ করা।
- নিয়মিত মেডিটেশন ও আত্মনিয়ন্ত্রণ চর্চা করা।
আজ থেকেই এই শিক্ষা গুলো জীবনে প্রয়োগ করো, দেখবে জীবন অনেক শান্তি ও সুখের হয়ে উঠবে!