আপনার স্বপ্ন পূরণে ভগবদ্গীতার ৭টি প্রেরণা
স্বপ্ন পূরণ করা, জীবনে এগিয়ে যাওয়া, বা নিজের লক্ষ্য অর্জন করা—এই শব্দগুলো শুনলেই যেন আমাদের চোখে এক অন্যরকম উজ্জ্বলতা ফুটে […]
স্বপ্ন পূরণ করা, জীবনে এগিয়ে যাওয়া, বা নিজের লক্ষ্য অর্জন করা—এই শব্দগুলো শুনলেই যেন আমাদের চোখে এক অন্যরকম উজ্জ্বলতা ফুটে […]
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার প্রথম অধ্যায়ের ৪৬ নম্বর শ্লোকটি অর্জুনের গভীর মানসিক সংকটকে বর্ণনা করে। শ্লোকটি পড়লেই আমরা উপলব্ধি করতে পারি, যুদ্ধক্ষেত্রে উপস্থিত
যদি মামপ্রতিকারমশস্ত্রং শস্ত্রপাণয়ঃ । ধার্তরাষ্ট্রা রণে হন্যুস্তন্মে ক্ষেমতরং ভবেৎ ॥৪৫॥ শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার প্রথম অধ্যায়ের এই ৪৫তম শ্লোকটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং মানব
অহো বত মহৎ পাপং কর্তুং ব্যাবসিতা বয়ম্ ।যদ্ রাজ্যসুখলোভেন হন্তুং স্বজনমুদ্যতাঃ ॥ অর্থ: “হায়! কী মহাপাপের জন্য আমরা উদ্যত হয়েছি!
ধর্ম কেবলমাত্র উপাসনা বা নিয়ম পালনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি মানবজীবনের এক অভ্যন্তরীণ শক্তি, যা পরিবার এবং সমাজের মঙ্গলের
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার চতুর্থ অধ্যায়ে, শ্লোক ৪২এ (যা চতুর্থ অধ্যায়ের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ শ্লোক) ভগবান শ্রীকৃষ্ণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ
হিন্দু ধর্মে পরিবার, আচারঅনুষ্ঠান এবং প্রাচীন রীতির গুরুত্ব অপরিসীম। ভগবদ্গীতার ১ম অধ্যায়ের ৪১তম শ্লোক আমাদের দেখায় যে, কুলের মধ্যে সঙ্কর
হিন্দু ধর্মগ্রন্থগুলির অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনা শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা, যেখানে শ্রীকৃষ্ণ তার শিষ্য অর্জুনকে যুদ্ধক্ষেত্রে বিভিন্ন জীবনদর্শন ও ধর্মীয় উপদেশ দেন। গীতার ১ম
“কুলক্ষয়ে প্রণশ্যন্তি কুলধর্মাঃ সনাতনাঃ। ধর্মে নষ্টে কুলং কৃৎস্নমধর্মোহভিভবত্যুত ॥৩৯॥” শ্রীমদ্ভগবদগীতার দ্বিতীয় অধ্যায়ে এই শ্লোকটি বলা হয়েছে। এ শ্লোকটির মাধ্যমে যুদ্ধের
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার বিভিন্ন শ্লোকে জীবন পরিচালনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষার কথা বলা হয়েছে, যা হাজার বছর ধরে সনাতন ধর্মের অনুসারীদের জীবনকে প্রভাবিত
যদ্যপেতে ন পশ্যন্তি লোভোপহতচেতসঃ ।কুলক্ষয়কৃতং দোষং মিত্রদ্রোহে চ পাতকম্ ॥৩৭॥ ভগবদ্গীতার এই শ্লোকটি আমাদের জীবন চলার পথের একটি গভীর সতর্কবার্তা।
“পাপমেবাশ্রয়েদস্মান্ হত্বৈতানাততায়িনঃ । তস্মান্নার্হা বয়ং হন্তুং ধার্তরাষ্ট্রান্ সবান্ধবান্ । স্বজনং হি কথং হত্বা সুখিনঃ স্যাম মাধব ॥” এই শ্লোকটি শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার শ্লোক ২.৩৫এ অর্জুন যখন যুদ্ধক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে তার নিকট আত্মীয়দের হত্যা নিয়ে দ্বিধায় ভুগছিলেন, তখন তিনি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সামনে তার
“মাতুলাঃ শ্বশুরাঃ পৌত্রাঃ শ্যালাঃ সম্বন্ধিনস্তথা । এতান্ন হন্তমিচ্ছামি ঘ্নতহপি মধুসূদন ॥” গীতা অনুসারে এই শ্লোকটি যোদ্ধা অর্জুনের গভীর দ্বন্দ্ব এবং
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার ১ম অধ্যায়ের ৩৩ নম্বর শ্লোকটি পড়লে যুদ্ধ এবং আত্মত্যাগের গুরুত্ব সম্পর্কে একটি গভীর বার্তা উপলব্ধি করা যায়। এই শ্লোকে
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা মহাভারতের অন্যতম গুরত্বপূর্ণ অংশ যেখানে শ্রীকৃষ্ণের বাণী আর্সেন আরজুনের জীবনের মানে বোঝার এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তকে কেন্দ্র করে। শ্লোক ৩২এ
“ন চ শ্রেয়োহনুপশ্যামি হত্বা স্বজনমাহবে । ন কাঙ্ক্ষে বিজয়ং কৃষ্ণ ন চ রাজ্যং সুখানি চ ॥৩১॥” এই শ্লোকটি ভগবদ্গীতার এক
“ন চ শক্নোম্যবস্থাতুং ভ্রমতী চ মে মনঃ। নিমিত্তানি চ পশ্যামি বিপরীতানি কেশব॥ এই শ্লোকটি শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার দ্বিতীয় অধ্যায় থেকে নেওয়া হয়েছে,
ভগবদ্ গীতা আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে একটি মূল্যবান নির্দেশিকা প্রদান করে, যেখানে শ্রীকৃষ্ণ জীবনের নানা সংকট মোকাবেলায় অর্জুনকে উপদেশ দিয়েছেন।
গীতার শ্লোক ২৮এ মহাভারতের অন্যতম নায়ক অর্জুন কৃষ্ণের সাথে যুদ্ধে প্রবেশের প্রাক্কালে এমন এক মানবিক দুর্বলতা অনুভব করছেন, যা আমরা
শ্রীমদ্ভগবদগীতা হিন্দু ধর্মের এক মহাকাব্যিক গ্রন্থ, যা আমাদের জীবনকে আদর্শের পথে পরিচালিত করে। এই শাস্ত্রে অর্জুনের মানসিক অবস্থার সাথে আমরা
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার দ্বিতীয় অধ্যায়ের ২৬তম শ্লোকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি একটি আবেগপ্রবণ মুহূর্ত যেখানে অর্জুন তাঁর আত্মীয়দের যুদ্ধের ময়দানে দেখতে পান। এই
ভীষ্মদ্রোণপ্রমুখতঃ সর্বেষাং চ মহীক্ষিতাম্ । উবাচ পার্থ পশ্যৈতান্ সমবেতান্ কুরূনিতি ॥২৫॥ অনুবাদ: ভীষ্ম, দ্রোণ ও অন্যান্য মহাশক্তিধরদের দেখে, পার্থকে (অর্জুনকে)
“সঞ্জয় উবাচ: এবমুক্তো হৃষীকেশো গুড়াকেশেন ভারত, সেনয়োরুভয়োর্মধ্যে স্থাপয়িত্বা রথোত্তমম্ ॥২৪॥” গীতার ২৪তম শ্লোকটি ভগবদগীতার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তকে প্রতিফলিত করে। এই
“যোৎস্যমানানবেক্ষেহহং য এতেহত্র সমাগতাঃ। ধার্তরাষ্ট্রস্য দুর্বুদ্ধের্যুদ্ধে প্রিয়চিকীর্ষবঃ ॥২৩॥” অনুবাদ: “আমি (অর্জুন) দেখতে চাই, এখানে এই যুদ্ধ ক্ষেত্রে যারা সমবেত হয়েছে
মহাভারতের যুদ্ধক্ষেত্রের শ্লোক, “কৈঃ ময়া সহ যোদ্ধব্যমস্মিন্ রণসমুদ্যমে”, আসলে এক গভীর দার্শনিক প্রশ্ন তুলে ধরে। এটি মহাভারতের যুদ্ধের মধ্যে একজন
শ্লোক: ২১ অর্জুন উবাচ: “সেনয়োরুভয়োর্মধ্যে রথং স্থাপয় মেহচ্যুত । যাবদেতান্নিরীক্ষেহহং যোদ্ধুকামানবস্থিতান্ ॥২১॥” অনুবাদ: অর্জুন বললেন, “হে অচ্যুত, আমার রথটি দুই
শ্লোকটি: “অথ ব্যবস্তিতান্ দৃষ্ট্বা ধার্তরাষ্ট্রান্ কপিধ্বজঃ প্রবৃত্তে শস্ত্রসম্পাতে ধনুরুদ্যম্য পান্ডবঃ হৃষীকেশং তদা বাক্যমিদমাহ মহীপতে ॥২০॥” বাংলা অনুবাদ: তখন, কপিধ্বজ অর্জুন
ভগবদ্গীতার প্রথম অধ্যায়ে শ্লোক ১৯ বিশ্লেষণ করতে গেলে আমাদের কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের প্রথম দিনটির প্রচণ্ড উত্তেজনা এবং উভয় পক্ষের মানসিকতা বোঝার
শ্লোক “দ্রুপদো দ্রৌপদেয়াশ্চ সর্বশঃ পৃথিবীপতে । সৌভদ্রশ্চ মহাবাহুঃ শঙ্খান্ দধ্মুঃ পৃথক্ পৃথক্ ॥” (শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা ১:১৮) এই শ্লোকে, অর্জুন ও কৃষ্ণের
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার দ্বিতীয় অধ্যায়ের এই শ্লোকটি কুরুশেত্রের যুদ্ধে কিছু মহান যোদ্ধার উল্লেখ করে। এখানে যুদ্ধক্ষেত্রের বিশাল ভয়াবহতা, মহামহিম যোদ্ধাদের পরিচয় এবং
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার শ্লোক ১৬তে কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে মহাভারতের বিভিন্ন ঘটনা, প্রতীক এবং ধর্মীয় শিক্ষা অত্যন্ত গভীরভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। এখানে, কৌরবদের বিপক্ষে
“পাঞ্চজন্যং হৃষীকেশো দেবদত্তং ধনঞ্জয়ঃ। পৌন্ড্রং দধ্মৌ মহাশঙ্খং ভীমকর্মা বৃকোদরঃ ॥” (শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা, অধ্যায় ১, শ্লোক ১৫) এই শ্লোকটি ভগবদ্গীতার প্রথম অধ্যায়ে
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার প্রথম অধ্যায়ের চতুর্দশ শ্লোকটি অত্যন্ত অর্থবহ। শ্লোকটি একটি বিশেষ মুহূর্তের বর্ণনা করে, যেখানে মহাভারতের যুদ্ধে কুরুক্ষেত্রের ময়দানে কুরুপক্ষ এবং
মহাভারতের যুদ্ধের সময় প্রতিটি মুহূর্ত ছিল রহস্যে, উন্মাদনায়, এবং এক ভয়ানক শক্তির সাক্ষী। শ্লোক ১৩ থেকে সেই সময়ের এক বিশেষ
ভারতীয় ধর্মগ্রন্থ মহাভারত আমাদের ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক জ্ঞানভাণ্ডারে অমূল্য সম্পদ হিসেবে বিবেচিত। মহাভারতের যুদ্ধের সূচনা থেকে শেষ পর্যন্ত একএকটি ঘটনা
শ্লোক: অয়নেষু চ সর্বেষু যথাভাগমবস্থিতাঃ। ভীষ্মমেবাভিরক্ষন্ত্ত ভবন্তঃ সর্ব এব হি ॥১১॥ মহাভারতের শ্লোকটি ব্যাখ্যা করতে গেলে প্রথমে এর মর্ম বোঝা
শ্লোক ১০: অপর্যাপ্তং তদস্মাকং বলং ভীষ্মাভিরক্ষিতম্ অর্থ ও ব্যাখ্যা: কুরুকুলের শক্তি এবং আত্মবিশ্বাস প্রাচীন হিন্দু ধর্মগ্রন্থ ‘শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা’ হল ধর্ম, কর্ম
প্রাচীন শ্লোকের আবেদন: ধর্ম ও কৌরবপাণ্ডবদের সত্তা এই শ্লোকটি ভগবদ গীতার দ্বিতীয় অধ্যায়ের অঙ্গ, যেখানে কৌরব সেনার পক্ষ থেকে কর্ণ,
মহাভারতের যুদ্ধক্ষেত্র কুরুক্ষেত্রের প্রথম অধ্যায় থেকে শুরু করে গীতার গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো আমাদের ধর্ম ও নীতির শিক্ষা দেয়। এই মহাযুদ্ধ শুধু
ভারতের প্রাচীন মহাকাব্য মহাভারতের এই শ্লোকটি যুদ্ধক্ষেত্রে কৌরব পক্ষের শক্তিশালী যোদ্ধাদের নেতৃত্ব এবং তাদের ভূমিকা সম্পর্কে একটি বিশেষ বার্তা প্রদান
মহাভারতের অমৃতভাণ্ডার হিন্দু ধর্মের মহাকাব্য মহাভারত শুধু একটি গল্প নয়, এটি আমাদের জন্য এক অপরিসীম জ্ঞানের ভাণ্ডার। আজ আমরা আলোচনা
শ্লোক: “ধৃষ্টকেতুশ্চেকিতানঃ কাশিরাজশ্চ বীর্যবান্ । পুরুজিৎ কুন্তিভোজশ্চ শৈব্যশ্চ নরপুঙ্গবঃ ॥৫॥” এই শ্লোকটি মহাভারতের কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের প্রস্তুতির প্রেক্ষাপটে রচিত হয়েছে। এখানে
ভারতীয় মহাকাব্য মহাভারতে মহান বীরদের কথা উল্লেখিত হয়েছে, যারা তাদের শক্তি, সাহস ও কৌশলের জন্য আজও স্মরণীয়। এই শ্লোকটি (৪র্থ
পশ্যৈতাং পাণ্ডুপুত্রাণামাচার্য মহতীং চমূম্।ব্যূঢ়াং দ্রুপদপুত্রেণ তব শিষ্যেণ ধীমতা ॥৩॥ তোমার জীবনের রণাঙ্গন কোথায়? তুমি কি এক কঠিন সমস্যার মুখোমুখি? প্রতিদিন
হিন্দু ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা এক অনন্ত জ্ঞানের উৎস। এই গ্রন্থের প্রতিটি শ্লোকেই এমন সব গভীর মর্মার্থ লুকিয়ে আছে, যা
ধৃতরাষ্ট্র উবাচধর্মক্ষেত্রে কুরুক্ষেত্রে সমবেতা যুযুৎসবঃ।মামকাঃ পাণ্ডবাশ্চৈব কিমকুর্বত সঞ্জয় ॥১॥ জীবনের প্রতিটি মুহূর্তেই আমরা একধরনের যুদ্ধক্ষেত্রে অবস্থান করি। কখনো সেটা হয়